পাঁচ বছর আগে কোচবিহার আসনে জিতে অমিত শাহের ডেপুটি হয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তবে সেখানে গেরুয়া ভোটে ব্যাপক ধস নেমেছে। জনগণ এবার আস্থা রাখেননি অমিত শাহের ডেপুটির উপর। ফলস্বরূপ তৃণমূলের জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার কাছে প্রায় ৩৯ হাজার ২৫০ ভোটে কুপোকাত হয়েছেন নিশীথ। হার অনিবার্য দেখে মঙ্গলবার ভোট গণনার আগেই ছেড়েছিলেন কাউন্টিং হল। কোচবিহারে নিশীথ গড়ে ধস নামার পর এবার একটি পঞ্চায়েতও হাতছাড়া হল বিজেপির।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের উপপ্রধান থেকে হয়েছিলেন শাহের ডেপুটি, ভোটে কুপোকাত নিশীথ, এবার কী করবেন?
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের ভেটাগুড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে দিল তৃণমূল। জগদীশ বসুনিয়ার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য। আর তারপরেই ওই পঞ্চায়েতটি বিজেপির হাতছাড়া হল। জানা যাচ্ছে, ওই পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান সহ ৯ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। আজ শুক্রবার জগদীশের সিতাইয়ের বাড়িতে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলের যোগ দেন।
উল্লেখ্য, ভেটাগুড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা হল ১৮। সেখানে আগে থেকে তৃণমূলের ৬ জন সদস্য ছিল। বিজেপির ৯ জন সদস্য যোগ দেওয়ার ফলে এখন ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১৫ জন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই পঞ্চায়েত চলে এল তৃণমূলের দখলে। বিজেপির সদস্যরা এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে জগদীশ বলেন, যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তারা একটা সময় তৃণমূলেই ছিলেন। কোন কারণবশত বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। একটা সময় ভয় দেখিয়ে তাদের বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল। আজ তারা বুঝতে পেরেছেন। তাই তৃণমূলের পুনরায় ফিরে এসেছেন।
অন্যদিকে, পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, ভোটের পরেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির কর্মীদের মারধর, হুমকি লেগেই রয়েছে। ভয়ে অনেকেই ঘরছাড়া রয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধানদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাদের তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে জোর করে। এখন তারা লড়াই করতে পারছেন না। কারণ এখন পরিস্থিতি প্রতিকূল। তবে পরিস্থিতি অনুকূল হলে আবার তাঁর বিজেপিতে ফিরে যাবেন।