এবার কাটমানির বিনিময়ে বিবাহিত মহিলাদের রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। একথা জানিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। অভিযোগ এভাবে প্রায় ২০ জন মহিলাকে প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন প্রধান। অভিযুক্ত প্রধানের দাবি, তাঁর সই জাল করা হয়েছে।
বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ভদ্রপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কাটমানি নিয়ে বিবাহিত মহিলাদের অবিবাহিত শংসাপত্র দিয়েছেন তিনি। সেই শংসাপত্র দেখিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন সেই মহিলারা। সরকারি প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন তারা। এমনকী প্রকল্পের সুবিধা পেতে ভুয়ো বিয়ের কার্ডও ছাপানো হয়েছে। একথা জানিয়ে কিছুদিন আগে বিডিওকে চিঠি দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, তাতে কোনও লাভ হয়নি। এবার দুর্নীতির কথা জানিয়ে জেলাশাসক ও জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে অন্তত ২০ জন মহিলাকে এভাবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন প্রধান।
ওদিকে অভিযুক্ত প্রধানের দাবি, এব্যাপারে বিন্দু বিসর্গ জানেন না তিনি। সম্ভবত সই জাল করে শংসাপত্র বানানো হয়েছে। অভিযোগের প্রাপ্তিস্বীকার করে জেলাশাসক জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান ও প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।