ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী। স্থানীয় স্তরে দলীয় কোন্দল মেটানোর জন্য মিটিং ডেকেছিল তৃণমূল। আর সেই মিটিংয়েই দুই গোষ্ঠীর লোকজন একেবারে বাঁশ, চেয়ার নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মঞ্চ থেকে বার বার এনিয়ে সতর্ক করেছেন নেতৃত্ব। কিন্তু নেতাদের সেই সতর্কবার্তা কানে তোলেননি কর্মীরা। একেবারে বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কাঠালবেড়িয়ার ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।
স্থানীয় সূ্ত্রে খবর দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বনিবনা নেই। এনিয়ে অশান্তিও ছড়িয়েছেন মাঝেমধ্যে। বারে বারে এলাকায় সংঘর্ষ, বোমাবাজি, এমনকী মৃত্যুর ঘটনাও হয়েছে। এবার সেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্য়ের বার্তা দিতে তৎপর হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের দুপক্ষকে নিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। দলের দুই গোষ্ঠীর নেতৃত্বরাও হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানস্থলে। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে।
দলীয় কর্মীদের ঐক্যের বার্তা দিতে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সময়ই দর্শক আসনের একপাশে শুরু হয় কথাকাটাকাটি। এরপরই তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। বাঁশ, লাঠি নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। মঞ্চ থেকে বার বার ঘোষণা করা হয়, এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা? তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় নিজেদের মধ্যে। পরে বাসন্তী থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।