ফের দলীয় গোষ্টীকোন্দলের সাক্ষী থাকল কামারহাটি। রবিবার রাতে কামারহাটি এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির তৈরি হয়। কোন্দলের জেরে গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে রাতে থমথমে পরিবেশ ছিল এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় কামারহাটি ও বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়।
স্থানীদের অভিযোগ, কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলে দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। তাঁর পালটা দাবি, তাঁর অনুগামীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী। আফসানার দাবি, তাঁর শিক্ষিত ছেলের ওপর অকারণে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। অসুস্থতার কারণে তাঁর ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে গিয়ে নাকি তাঁর ছেলেকে হুমকি দিয়ে আসে তিনজন। কাউন্সিলরের দাবি, সেই তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ কেস রয়েছে। তারা নাকি তোলাবাজ। তবে গুলি চলার বিষয়টি অস্বীকার করেন কাউন্সিলর। তাঁর অভিযোগ, তাঁর অনুগামীদের ওপর মারধর করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে আচমকাই তাঁরা গুলির আওয়াজ শুনতে পান। এলাকায় আসে ১০ থেকে ১২ জন যুবক। অভিযোগ, সাইন পারভিন নামক এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, এই যুবকরা কাউন্সিলরের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত পারভিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হঠাৎ করে ঘরে দশ থেকে বারোজন ঢুকে পড়ে। গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার বাচ্চারা ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। আমি বুঝতেই পারলাম না কাকে, কেন মেরে ফেলার কথা বলছে ওরা। এরপর বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে যায় ওরা।’