তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ থানায় দায়ের হলে গ্রেফতার করা হয় আপ্ত সহায়ককে। অভিযোগ, কাউন্সিলরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এই আপ্ত সহায়কের। আর এই ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে দেদার টাকা তুলেছে অভিযুক্ত আপ্ত সহায়ক। এমন সব বিষয় সামনে এলে বিবাদ বাড়ে দু’জনের মধ্যে। তখন এই আপ্ত সহায়ক ওই কাউন্সিলরকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই ২০২০ সালে আত্মঘাতী হন শ্রীরামপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমা নাথ।
কাউন্সিলরের পরিবার সূত্রে খবর, আপ্ত সহায়ক বিজয় শাহ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিল। সেটা রমা বলে ছিল। ঘটনার পর আপ্ত সহায়ক বিজয় শাহ গা ঢাকা দিয়েছিল। এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রমার মা। থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অবশেষে দেড় বছর পর শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল জিআরপি। রবিবার তাকে কলকাতায় আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাউন্সিলর রমার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল আপ্ত সহায়ক বিজয়ের। সেটারই পুরোমাত্রায় সুযোগ নেয় বিজয়। যা জানতে পেরে অপমানিতবোধ করেন রমা। এই বিষয় সামনে আসতেই বিজয় রমাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়। টাকার বিনিময়ে এলাকার বাসিন্দাদের অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল বিজয়। যা নিয়ে আপত্তি তোলেন রমা।
উল্লেখ্য, পর পর তিনবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিল রমা নাথ। ২০২০ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন রমা। তাঁর মা জিআরপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উত্তরপ্রদেশে বাঁশপোতা এলাকায় অভিযান চালায় শ্রীরামপুর জিআরপি। সেখানে আত্মগোপন করতে জমিতে কাজ করত বিজয় শাহ। পাঁচ সদস্যের দল তাকে গ্রেফতার করে।