দলের উপরমহল থেকে সতর্ক করার পরেও কোচবিহারের মাথাভাঙায় চেয়ারম্যান পদকে ঘিরে দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল বুধবার। এদিকে এনিয়ে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মাথাভাঙায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, দলের পক্ষ থেকে লক্ষপতি প্রামাণিকের নামই চেয়ারম্যান হিসাবে ঠিক করা হয়েছিল। ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ সাহার নাম ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু দলের এক কাউন্সিলর অবশ্য অন্য একটি নাম চেয়ারম্যান হিসাবে প্রস্তাব করেন। এরপরই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় মাথাভাঙায়। পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। কিন্তু কী নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত?
দল সূত্রে খবর, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লক্ষপতি প্রামাণিকের নামই চেয়ারম্যান হিসাবে প্রস্তাব করা হয়। এরপরই ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর সরকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ রায়ের নাম চেয়ারম্যান হিসাবে প্রস্তাব করেন। এনিয়ে তুমুল মতবিরোধ শুরু হয়ে যায়। কেন এভাবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ওই কাউন্সিলর ভিন্ন একটি নাম ঘোষণা করলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিকে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে পুরসভা ভবনের বাইরে প্রচুর তৃণমূল কর্মী জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরাও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলীয় হুইপ অমান্য করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে প্রবীর সরকারের দাবি, আমি অন্য নাম প্রস্তাব করতেই পারি। সমর্থন না করলে বাতিল হয়ে যাবে। সেটাই হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষপতি প্রামাণিককে চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে।