অপহরণ , তোলাবাজি, প্রতারণার মতো গুরুতর অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করল সিআইডি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃত কাউন্সিলরের নাম মিলন সর্দার। তিনি বারাসত পুরভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এদিকে শাসক শিবির দাবি করছে, মিলনকে ইতিমধ্যেই দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তবে ঠিক কী কী অভিযোগ আছে মিলনের বিরুদ্ধে? দাবি করা হচ্ছে, উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যবসায়ী দেবব্রত দে-কে দু’দফায় কিডন্যাপ করার অভিযোগ রয়েছে মিলনের বিরুদ্ধে। এদিকে এই দেবব্রতর থেকে দুই দফায় মোট ৯ কোটি টাকা মুক্তিপণ নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। (আরও পড়ুন: একাধিক নিয়ম ভেঙে রেজিস্ট্রেশন বাতিল সন্দীপের! উঠছে গুরুতর সব অভিযোগ)
আরও পড়ুন: অডিয়ো কাণ্ডে কুণালকে জেরা নয় কেন? প্রশ্ন করেছিল HC,পালটা বিস্ফোরক দাবি TMC নেতার
জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরা বাসিন্দা দেবব্রত বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনায় ব্যবসা করেন। সেই দেবব্রতর থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেই তাঁকে অপহরণের ছক কষা হয়েছিল। সেই অপহরণকারী দলের মাথায় নাকি ছিলেন এই মিলন। অভিযোগ তৃণমূলের টিকিটে জেতা এই কাউন্সিলর নাকি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার যাবতীয় পরিকল্পনা করেছিলেন। এই আবহে তদন্তে নেমে মিলনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই দফায় মিলনের থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছিল। প্রথম দফায় মুক্তিপণ হিসাবে ৬ কোটি টাকা, পরবর্তীতে আরও ৩ কোটি টাকা নেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের থেকেই সামনে সন্দীপের আরও 'পাপ', শুনলে খাড়া হবে মাথার চুল)
আরও পড়ুন: সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য, আরজি কর খুন কাণ্ডে TMCP নেতার ওপর নজর CBI-এর
রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের একদম শুরুতে ব্যবসায়ী দেবব্রতকে খড়দার একটি আবাসনের পার্কিং লট থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। এক পরিচিতের বাড়িতে এসেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময়ই আবাসনের নিচে পার্কিং লট থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। অস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন দুষ্কতী। এর পরে তাঁকে আটকে রাখা হয় বারাসাতেরই একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে। তারপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ ও পরে সিআইডি। এই মামলায় এর আগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর গতকাল রাতে মিলনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবশ্য, ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছিলেন মিলন। ১৯ তারিখ রাতে কাউন্সিলর মিলন সর্দারের এলাকায় ফিরলেই খবর পেয়ে যান সিআইডি কর্তারা ৷ তারপরই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার অবশ্য দাবি করেছেন, ওই কাউন্সিলরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।