টাকা দিলেই তৃণমূলে যে কোনও পদ পাওয়া যায়। পুরবোর্ড গঠনের দিনে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এই অভিযোগ করলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান কৃষ্ণা রায়। তাঁর অভিযোগ, জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও টাকা দিতে না পারায় বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন বনগাঁ পুরসভার নবনির্বাচিত পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।
বুধবার বনগাঁ পুরসভায় পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল। দলের নির্দেশে চেয়ারম্যান হয়েছেন গোপাল শেঠ। উপ-পুরপ্রধান হয়েছেন শংকর আঢ্যর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য। এর পরই সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর কৃষ্ণা রায়। তিনি বলেন, ‘টাকা দিলেই এই দলে সব পদ পাওয়া যায়। চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান হতে গেলে টাকা ফেলতে হবে। আমরা পয়সা দিয়ে টিকিট কিনতে পারব না। দল আমাদের টিকিট দিয়েছে। আমরা প্রমাণ করেছি যে মানুষের মধ্যে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু টাকা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে পারি না বলে আমাদের পদ জোটে না’। সঙ্গে গোপাল শেঠকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘দলের উচ্চ পদ উপভোগ করে একজন নীচু পদের দাবিদার, এটা লজ্জার।’
কৃষ্ণাদেবীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গোপালবাবু বলেন, ‘উনি কী বলেছেন শুনিনি। দলের নির্দেশ মেনে শৃঙ্খলা রক্ষায় যা করার করব। উনি তো দলের সব বৈঠকে ছিলেন। এখন কেন এসব বলছেন জানি না।’