মহিলাদের সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে দৌরাত্ম্য কাউন্সিলারের অনুগামীদের। পূজা মণ্ডপে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং এলাকার মানুষদের উপর চড়াও হয় কাউন্সিলার সহ তার অনুগামীরা। ঘটনাটি হুগলির কোন্নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের। রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ কাউন্সিলরের অনুগামীরা এসে চড়াও হয় এলাকার লোকদের উপর। প্রতিবাদ করতে গেলে এক এলাকাবাসীকে বেধড়ক মারধরও করে তারা। ঘটনায় আহত এলাকাবাসী অভিযোগ দায়ের করেছে উত্তরপাড়া থানায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গল্প - গুজব করছিলেন। সেখানে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দন মন্ডল ও তার অনুগামীরা এসে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাদের অনেকেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে তারা। ঘটনার প্রতিবাদ করলে নমিতা সরকার নামে স্থানীয় এক মহিলাকে গালিগালাজ করে কাউন্সিলরের এক অনুগামী অভিজিৎ দেবনাথ। মহিলার স্বামী ঘটনার প্রতিবাদ করতে আসলে তার উপরে মারধর করে কাউন্সিলরের অনুগামীরা। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে কাউন্সিলরের সামনেই।
এই ঘটনার পরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোন্নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকার মানুষজন, আহত মহিলাও তার পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কোন্নগর ফাঁড়িতে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন।
স্থানীয় বাসিন্দা নমিতা সরকার বলেন, পুজো করার পরে পূজা মণ্ডপের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। সেখানেই হঠাৎ কাউন্সিলর চন্দন মন্ডল ও তার অনুগামীরা এসে অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ করতে শুরু করে। তারা যখন জিজ্ঞেস করে যে কেন তারা এরকম করছেন, তখনই তাদের উপর আরো চড়াও হয়। তার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে। গোটা ঘটনায় তারা খুবই আতঙ্কিত।