ক্যানিংয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে নিহত ৩ দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। শনিবার দুপুরে ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছন তৃণমূলের ৩ সাংসদ ও ৯ বিধায়কের প্রতিনিধিদল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি দলের তরফে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক নিহতদের স্ত্রীদের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
এদিন ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর গ্রামে দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল কান্নার আওয়াজ। তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত ৩ তৃণমূল নেতার স্ত্রীরা। এর পর সাংসদ মালা রায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে সেখানে পৌঁছন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমবেদনা জানান। শোনের তাঁদের অভাব অভিযোগ। এর পর তাঁদের হাতে ৪ লক্ষ টাকা করে দলের তরফে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন।
এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মালা রায় বলেন, ‘এই ঘটনায় বিজেপির দুষ্কৃতীদের যোগ আছে। আমরা চাইছি সারা বাংলায় শান্তির রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে। সেখানে বিজেপি সারা বাংলায় সন্ত্রাস ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত সারা বাংলায় বিজেপির এই তাণ্ডব চলবে।’
সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দুষ্কৃতীদের শাস্তি দেওয়ার পক্ষে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করে দ্রুত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে আশা করি। এটা উত্তর প্রদেশ নয় যে পুলিশ নিয়ে গিয়ে এনকাউন্টার করে মেরে দেয়। এখানে পুলিশ পদক্ষেপ করবে। নিহতদের পরিবার ন্যায়বিচার পাবে।’
বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, ‘তৃণমূল কখনও তৃণমূলকে মারতে পারে না। অভিযুক্তরা আগে SUCI করত। এখন তারা বিজেপির নির্দেশে এই কাজ করেছে। আমরা তাদের ফাঁসি চাই।’ যদিও শুক্রবার তিনি বলেছিলেন, ‘ওখানে বিজেপি বলে কিছু নেই’।