এবারের ভোটে বিজেপির প্রচারে বার বারই উঠে এসেছিল ত্রিপল চোর, চাল চোরের প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গত আমফানের সময় তৃণমূলের একাধিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল। সেকথাকেই ভোট বাজারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল শিবির। কার্যত সেকারণেই এবার সরকারি ত্রাণ বিলির সঙ্গে দলের কাউকে পারতপক্ষে রাখা হচ্ছে না। কিন্তু সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে আরামবাগের তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। তবে এবার আর বিজেপির অভিযোগ নয়, তৃণমূলের মধ্যে থেকেই তার শাস্তির দাবিতে উঠছে আওয়াজ। ত্রিপল চুরিতে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব দলেরই একাংশ। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে আরামবাগে তৃণমূলের অন্দরে।
দল সূত্রে খবর, আরামবাগের আরান্ডি ১ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে ইয়াসের ত্রাণের জন্য বরাদ্দ সরকারি ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠেছে। এবার তারই শাস্তির দাবি উঠছে দলের অন্দর থেকেই। এব্যাপারে দলের উপরমহলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। তবে অভিযুক্ত সোহরাবের দাবি, ‘দুর্নীতির কোনও প্রমাণ মিলবে না।’ দলের ব্লক নেতৃত্বের দাবি, ‘তৃণমূলকে পরিচ্ছন্ন দেখবেন এটা আশা করেই মানুষ ফের আমাদের ভোট দিয়েছেন। সেকথা চিন্তা করেই সোহরাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে।’ এদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘গোটা বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতবছরই সোহরাবের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছি। আমফানের পর বেআইনীভাবে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। দলের একাংশের মতে, ‘সেবার দলীয়ভাবে শোকজ করার পরেও কার্যত কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার আবার ইয়াসের ত্রাণের ত্রিপল চুরিতে অভিযুক্ত তিনি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে দর্জি ছিলেন তিনি। প্রধান হওয়ার পর বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি।’ এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের। এবার একেবারে তাকে প্রধান পদ থেকে সরানোর দাবি উঠছে দলের অন্দরমহল থেকে। এদিকে প্রশাসন গোটা ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।