Amit Shah: অমিত শাহের প্রশংসা করে তৃণমূল নেতার চিঠি, দলকে না জানিয়ে পদক্ষেপ

আগে এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু দলবদল করার পর অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে অপসারিত করে চেয়ারম্যান হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ পাত্র। তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক। আগে তৃণমূল কংগ্রেসের মোহনপুর ব্লক সভাপতিও ছিলেন।

অমিত শাহ। (ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

এ যেন কার্যত সেমসাইড গোল। তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুরের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়েছেন। যা দল জানে না। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাহলে কি তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন?‌ বলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অমিত শাহ এখন কেন্দ্রের সমবায় মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন। আর তাঁকেই প্রশংসাসূচক চিঠি পাঠিয়েছেন মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুরের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ পাত্র। এমনকী কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সমবায় চালুর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করে পাঠানো হয়েছে ওই চিঠি। ধন্যবাদ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও।

ঠিক কী ঘটেছে মেদিনীপুরে?‌ জানা গিয়েছে, আগে এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু দলবদল করার পর অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে অপসারিত করে চেয়ারম্যান হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ পাত্র। তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক। আগে তৃণমূল কংগ্রেসের মোহনপুর ব্লক সভাপতিও ছিলেন। কিন্তু এই চিঠির ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ব্যাঙ্ক কেউই কিছু জানেন না। ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না।’ আর তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘কেন এমন চিঠি পাঠানো হয়েছে?‌ বুঝতে পারছি না।’ সুতরাং গুঞ্জন শুরু হয়েছে জেলায়।

ঠিক কী বলছেন প্রদীপ পাত্র?‌ এই চিঠি নিয়ে প্রদীপ পাত্র বিতর্কের কিছু দেখছেন না। বরং তিনি বলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছেন রাজ্যের বকেয়া আদায়ের জন্য। এখানে আপত্তির কী রয়েছে। কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপ অবশ্যই ভাল। ভালকে তো ভাল বলতেই হবে। তাই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হিসেবে চিঠি পাঠিয়েছি।’ শাহি চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‌সমস্ত সমবায় ব্যাঙ্ককে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমবায় ব্যাঙ্ক, সমবায় সমিতিগুলি শক্তিশালী হবে। কাজেও স্বচ্ছতা আসবে। এই পদক্ষেপ সমবায় আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করবে।’

ঠিক কী বলছে বিজেপি?‌ বিজেপির রাজ্য নেতা তুষার মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কেন্দ্র সমবায়কে শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে নানা পদক্ষেপ করেছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও এখন বুঝতে পারছেন। তাই এমন চিঠি দিয়েছেন।’‌ সূত্রের খবর, দলকে না জানিয়ে এই চিঠি দেওয়ায় তাঁর কাছে জবাব চাওয়া হবে। এমনকী শোকজ পর্যন্ত করা হতে পারে।