বালুরঘাট, দিনাজপুরের পর এবার ঝাড়গ্রাম। তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে। সবাইকে নিয়ে সমন্বয় গড়ে তোলার বৈঠকে বেআব্রু হয়ে গেল গোষ্ঠীকোন্দল। তার জেরে গালাগালি থেকে হাতাহাতি সবই চলল প্রকাশ্যে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। সেখানে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্রমোহন হলে জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বৈঠক ডেকেছিলেন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রশান্ত রায়। আর ওই বৈঠকেই এমন ছবি দেখা গেল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে ঝাড়গ্রামে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই সমন্বয় বৈঠকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমরেশ বেরা অভিযোগ করেন, শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে স্থানীয় বাচ্চাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এমনকী দলও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তখনই জেলা সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা সমরেশকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দশরথ হেমব্রম অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকেও চুপ করতে বলেন। এই পরিস্থিতিতে অন্য দুই কর্মী চেঁচিয়ে ওঠেন। এই নিয়ে শুরু হয় গণ্ডগোল। তারপরই তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
এখানের বহু কর্মীরা প্রশান্ত অনুগামী বলে জানা গিয়েছে। প্রশান্ত–দেবনাথের ঠান্ডা লড়াই রয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে জেলা সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা মাইক নিয়ে বলেন, ‘গণ্ডগোল করে লাভ নেই। সামনে নির্বাচন। সবাইকে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে।’ তারপর গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতোর বক্তব্য শেষে হতেই বৈঠক শেষ করে দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতি নিয়ে বাইরে কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে নির্বাচন সামনে থাকায় সকলকেই দলের গাইডলাইন মানতে বলা হয়। আজ, শুক্রবার থেকে দেওয়াল লিখন, পতাকা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে চাপা ক্ষোভ সকলের মধ্যেই রয়েছে। গোষ্ঠীকোন্দল এভাবে কমে যায়নি বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে এসব নির্বাচনে যেন প্রভাব না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।