আলোর উৎসবের রাতেই আঁধার নেমেছে রাজনীতির প্রাঙ্গণে। কারণ প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রাইসিস ম্যানেজার সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে রাজনীতির প্রতিটি প্রান্ত থেকে আসছে শোকবার্তা। এবার তাতে নয়া সংযোজন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যিনি শোকপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে জানালেন নয়া তথ্য।
আজ এই ঘটনা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমার শোকপ্রকাশের কোনও ভাষা নেই। আর দলের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি থেকেও এসেছে নানা শোকবার্তা। আজ তাঁর অন্ত্যোষ্টি হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। এই আবহে প্রয়াত মন্ত্রীর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে দেখা গেল এই দাপুটে নেতাকে।
কিন্তু কোন নয়া তথ্য দিলেন অনুব্রত? এদিন তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাকে নিজের ভাইয়ের মতো দেখতেন। একাধিক বিষয়ে উপদেশ দিতেন। এমনকী মুখ থেকে কখনও খারাপ কথা বেরোলে সংশোধন করে দিতেন। আমাকে জ্ঞান দিতেন। আমায় শেখাতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের লোক ছিলেন উনি। ওঁনার মৃত্যুতে কষ্ট তো হবেই।’
গ্রামের মেঠো রাজনীতি থেকে উঠে আসা ব্যক্তি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি রেগে গেলে কোনও জ্ঞান থাকে না। তাই মুখ থেকে মাঝে–মধ্যে কুকথা বা গালাগাল বেরিয়ে যায়। এখানেই পরামর্শ দিয়ে তাঁকে শুধরেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলকে প্রয়াত নেতা আগে বলেছিলেন, বাংলার রাজনীতিতে অশ্রাব্য ভাষার কোনও স্থান নেই। মানুষ মেনে নেয় না। মস্তিষ্কের লড়াইকে সেলাম করে। বুদ্ধিমত্তা দিয়েই কাজ করতে হবে। আজ তা মনে পড়ছে অনুব্রত মণ্ডলের।