বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > কোচবিহারে আট পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, অনাস্থা আনার জের

কোচবিহারে আট পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, অনাস্থা আনার জের

তৃণমূল বহিষ্কার করল পঞ্চায়েতের আট সদস্যকে।। (ANI Photo) (Utpal Sarkar)

তারপরই ওই সদস্যদের উপর বহিষ্কারের খাঁড়া নেমে আসে।

কোচবিহারের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্য। কিন্তু এটা দলের নির্দেশ অমান্য করার সামিল। তাই বহিষ্কার করা হল পঞ্চায়েতের আট সদস্যকে। এমনকী দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সঞ্জয়কুমার বর্মণকেও শোকজ করল কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব চাওয়া হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে কোচবিহারে?‌ তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, গত ২২ মার্চ বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্যের তলবি সভা ডাকা হয়। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি বর্মণকে অপসারিত করেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই আটজন পঞ্চায়েত সদস্য। বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধান জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেয়। তারপরই ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।

এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ এই কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তারপরও দলের নির্দেশ অমান্য করে তলবি সভা ডাকা হয়। আর অপমান করে পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণ করা হয়। এই ঘটনার কথা পঞ্চায়েত প্রধান জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন। তারপরই ওই সদস্যদের উপর বহিষ্কারের খাঁড়া নেমে আসে। ফলে এই অপসারণ আর কার্যকর হল না।

ঠিক কী বলছেন জেলা সভাপতি?‌ এই বিষয়ে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘তদন্ত করে দেখা গিয়েছে অনাস্থা পিছনে ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মণের হাত আছে। তাই তাঁর কাছে উত্তর চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলের নির্দেশ অমান্য করার জন্য এবং যাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারিত করেছেন তাঁদের প্রত্যেককেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

বন্ধ করুন