জমি দুর্নীতি কাণ্ডে জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সংগঠনের আরও এক তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। জেলা তৃণমূলের তরফে বৃহস্পতিবার ব্লকের সহ-সভাপতি গৌতম গোস্বামীকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে জমি দুর্নীতি কাণ্ডে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন গৌতম। এর আগে জমি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর একইভাবে ওই ব্লকের সভাপতি দেবাশিস প্রমাণিককেও দল থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিলেন জমি দখল করলে কাউকেই রেয়াত দেওয়া হবে না। সে যে দলেরই হোক না কেন। তারপরেই তৃণমূলের তরফে এরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া জলপাইগুড়ির নেতাকে তাড়াল TMC
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরেই রাজ্যজুড়ে অভিযানে নামতে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসন এবং আধিকারিকদের। তারপরেই জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় দেবাশিস প্রামাণিককে। পরে তাঁকে দল থেকেও বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি তিনি যে সমস্ত জমি দখল করেছিলেন সেগুলিও পুনরুদ্ধার করে প্রশাসন। শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দেবাশিস। পরে গ্রেফতার করা হয় দেবাশিসের ঘনিষ্ঠ আরও দুজনকে। তাদের জেরা করে গৌতমের নাম জানতে পারে পুলিশ।
এদিকে, তার আগেই গ্রেফতারের ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান গৌতম। পরে পুলিশ দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে গৌতমকে। জানা যায়, গ্রেফতারের ভয়ে শিলিগুড়ি ছেড়ে প্রথমে কলকাতায় আসেন তিনি। পরে সেখান থেকে গা ঢাকা দিয়ে হায়দরাবাদে চলে যান। তারপরে বেঙ্গালুরু ও পরে দিল্লিতে পৌঁছন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লি থেকে শিলিগুড়ি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আর এবার তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই তৎপর হতে দেখা যায় ভূমি দফতরকে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার এডিএমদের (এলআর) সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন দফতরের সচিব। সেই বৈঠকে যাতে কোনওভাবে সরকারি জমি দখল না হয় তা নিয়ে সতর্ক করেছেন। একইসঙ্গে কেউ নতুন করে সরকারি জমি দখল করতে যাতে না পারে তা নিয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে। সেই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দখল হয়ে যায় সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেন সচিব। এছাড়াও, কারও কোনও অভিযোগ থাকলে সেই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে বলে নির্দেশ দেন।