শুভেন্দু বিদায়ের পরে জেলা পরিষদের কনফারেন্স হল থেকে জেলা নেতারা যখন বেরিয়ে এলেন, তখন যে কথাটা ছড়িয়ে দিতে চাইলেন তাঁরা, তা যে খুব মজবুত নয় দলের অন্দরের গুঞ্জনেই তা স্পষ্ট। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, তৃণমূল ভবনের শেখানো বুলি বলে কী আর বাঁধন শক্ত করা যায়। আসলে মাঠে নেমে কাজ করে দেখানোর বার্তাই এখান থেকে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন পদ্ম শিবিরে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যিনি কংগ্রেসের গড় মুর্শিদাবাদকে সাইনবোর্ড করে দিয়েছিলেন। দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেস ভাঙিয়ে মুর্শিদাবাদের তৃণমুলকে সমৃদ্ধ করার সেই কারিগর এবার বিজেপিতে গিয়ে একই খেলা খেলবেন বলেই মনে করছেন তৃণমূলের কর্তাব্যক্তিরা। কারণ আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি’র হয়ে তৃণমূলের ঘরে ভাঙন ধরাবার চেষ্টা করছেন তিনি বলে খবর।
কংগ্রেসের এক প্রথমসারির জেলা নেতা দাবি করেন, পাপ নিজের বাপকেও ছাড়ে না। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া নেতা কর্মীদের অনেকে এখন নতুন করে যোগাযোগ করছেন। সুতরাং বাম–কংগ্রেস জোট নির্বাচনে শক্তিশালী হয়ে উঠবেন বলে কংগ্রেস নেতারা আশায় বুক বাঁধছেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ২২টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। তৃণমূলের ঝুলিতে ছিল চারটি আসন।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র মহফুজ আলমের (ডালিম) দাবি, হিসেবটা মিলিয়ে নেবেন। এবার নির্বাচনে আমরা বাইশে বাইশ। অর্থাৎ তাঁরা আশা করছেন শুভেন্দু বিজেপিতে চলে যাওয়ায় যাঁরা আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে ছিলেন তাঁরা আবার কংগ্রেসে ফেরত আসবেন।
যদিও তৃণমূলের অন্যতম কো–অর্ডিনেটর সৌমিক হোসেন দাবি করেছেন, জেলায় বিজেপি’র কোন অস্তিত্ব নেই। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এক হয়ে গেলেও মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবে।