তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর আগামী ৫ মে তৃণমূলের প্রথম বর্ষপূর্তি। তৃণমূল সরকারের এই বর্ষপূর্তিকে ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তি হিসাবে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ‘ওরা এখন মুখ দেখাতে পারছে না। মুখ দেখাতে পারছে না বলেই মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।’
তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তির আগে কলকাতা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং লাগিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের বর্ষপূর্তি কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপির তরফে ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংকল্প সপ্তাহ পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বিজেপি যেভাবে লজ্জাজনক হার হেরেছে, তাতে আর মুখ দেখানোর জায়গা নেই। নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ, সবাই এসেছিলেন। বলেছিলেন, এবার ২০০ পার। ৭০–এ আটকে গিয়েছে। তাই আর মুখ দেখাতে পারছে না। সেই কারণেই সব ধরনের মিথ্যা অপবাদ, অপপ্রচার করা হচ্ছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘ওদের এখন মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিজেপি এখন নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিংসা, মারপিট করছে। আগে নিজেদের ঘর গোছাক।’
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ মে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়লাভের পরই রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার সিবিআইয়ের তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেয়। দেখতে দেখতে এক বছর পূর্ণ হতে চলল। তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তিকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবির ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাকে তুলে ধরতে চাইছে। যদিও এই এক বছরে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন চলছেই।