তৃণমূল কংগ্রেসের বিবাদ ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন বসিরহাট থানার কনস্টেবল। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে–সহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলেই গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর উদ্ধার হয়েছে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দু’রাউন্ড গুলি। এই গুলি চলে বসিরহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের কাছেই। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশকর্মী। তাঁর ঘাড়ে গুলি লেগেছে বলে খবর। সোমবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বসিরহাট থানার শাঁকচুড়ার বাজারের কাছে।
ঠিক কী ঘটেছে বসিরহাটে? স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বসিরহাট থানার অনন্তপুর ফাঁড়ির পুলিশ। সেখানেই হঠাৎ গুলির চলার শব্দ শোনা যায়। আর সেই গুলিতে আহত হন ওই পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল প্রভা সর্দার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? শাকচুড়া বাজারের টাকি রোডে এই তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়। সেখানেই এদিন রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল হয় বলে অভিযোগ। রাত বাড়তেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। তখনই গুলি চলে বলে অভিযোগ। আহত পুলিশকর্মীকে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বসিরহাটের পুলিশ সুপার জেবি থমাস কে, রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
ঠিক কী বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের? এই ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুতুবুদ্দিন গাজীর সাফাই, তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা বাজার থেকে ফিরছিলেন। তখন তাঁকে কেউ বন্দুক দেখায়। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আর গুলি চললে গুলিবিদ্ধ হন এক পুলিশ কর্মী। এই ঘটনার পর পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে ঢোকে।