দুর্নীতির দায়ে তিন অনুগামীকে দল থেকে বহিষ্কারের পরদিনই বোমা ফাটালেন ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী অরূপ রায়। দলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে এদিন সরব হন তিনি। মূল নিশানা আরেক মন্ত্রী অরূপ রায় হলেও, তৃণমূলে যোগ্য লোকেদের মূল্য নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন রাজীববাবু বলেন, ‘যারা যোগ্যতার সঙ্গে কোনও কাজ করতে চায় তাদের সঠিকভাবে সেই সুযোগ করে দেওয়া হয় না। যোগ্যতার বিচার পায় না। কিছুটা হলেও আমার মধ্যে বেদনা রয়েছে। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ করতে দেওয়া হয়নি।‘
শুক্রবার আমফানের ত্রাণ দুর্নীতিতে দলের ৩ নেতাকে সাপেন্ড করেন জেলা সভাপতি অরূপ রায়। এর পরই শনিবার প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন রাজীব। সূত্রের খবর, বহিষ্কৃত ৩ নেতা রাজীব গোষ্ঠীর। এদিন রাজীববাবু অভিযোগ করেন, ‘হাওড়া শহরের ৩ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও জেলা সভাপতি পদক্ষেপ করেননি। বেছে বেছে চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে। বাদ পড়ছে রাঘব বোয়ালরা।’
এর পর ফেসবুক লাইভে এসে বোমা ফাটান রাজীব। বলেন, হাওড়ায় দলে একনায়কতন্ত্র চলছে। তিনি দলের কো-অর্ডিনেটর হলেও বৈঠকে ডাক পান না।
রাজীব এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে গেলে দল থেকে সার্বিকভাবে দুর্নীতি দূর করতে হবে। কয়েকজন চুনো পুঁটিকে দেখিয়ে আমি দুর্নীতি রোধ করতে পারব না। প্রচুর রাঘব বোয়াল, রুই, কাতলা, ইলিশ আছে। তাদেরও বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।‘
জবাবে অরূপ রায় বলেন, ‘দলের নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ করেছি। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় দলকে জানানো উচিত। প্রকাশ্যে মুখ খোলা উচিত নয়। আর ব্যবস্থা নেওয়ার নামে তো দলটাকে ফাঁকা করে দিতে পারি না। এসব কথা প্রকাশ্যে বলা দলবিরোধী কাজের সামিল।‘
পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে ময়দানে নামতে হয় তৃণমূলের হাওড়ার পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি বলেন, ‘কারও কোনও অভাব অভিযোগ থাকলে দলকে জানাতে পারেন। তাতে কাজ না হলে সরাসরি দলনেত্রীকে জানাতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে মুখ খোলা থেকে বিরত থাকতে হবে।‘