ভোট মিটতে না মিটতেই পূর্ব মেদিনীপুরে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। পেট্রোল – ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ কিলোমিটার ব্যবধানে কর্মসূচি পালন করলে পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক। শনিবার এই দৃশ্য দেখা যায় পাঁশকুড়ায়। তবে গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি মানতে রাজি হয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব।
শনিবার গোটা রাজ্যের মতো পাঁশকুড়াতেও পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল। পাঁশকুড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন পেট্রোল পাম্প সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্র, টাউন তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রীর সৌমেন মহাপাত্র স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র, পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপ্তি জানা। সেখান থেকে মেরে কেটে ২ কিলোমিটার দূরে মেচগ্রাম পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন মেচগ্রাম বাজারে বিক্ষোভ দেখান পাঁশকুড়ার বিধায়িকা ফিরোজা বিবি, পাঁশকুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর সেখ সমিরুদ্দিন, পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি মুফলেশুর দত্ত, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক সুজিত রায়। এতে ফের প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর বিবাদ।
তৃণমূলের পাঁশকুড়া টাউন সভাপতি সুমনা মহাপাত্র জানান, আমাদের দলে কোনো গোষ্ঠী নেই। মতবিরোধ থাকতেই পারে তবে কে কোথায় প্রোগ্রাম করছে জানি না। আমাদের জানিয়ে কেউ প্রোগ্রাম করেনি।
বিরোধী গোষ্ঠীর নেত্রী পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবি বলেন, ওরা প্রোগ্রাম করছে আমরাও করছি এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিছু নেই। এই বিষয়ে কিছু বলবো না। যদিও পাঁশকুড়া পৌরসভার কাউন্সিলর সমীরউদ্দিনের গলায় আলাদা সুর। কাউন্সিলর বলেন, আমাদের ওই প্রোগ্রামের আমন্ত্রণ জানায়নি। পাঁশকুড়ার এক নেতা রাতের অন্ধকারে আমাদের এই প্রোগ্রাম বন্ধ করার জন্য ফোন করে হুমকি দিয়েছিল, কিন্তু ওই নেতার কথা আমরা শুনিনি। আমরা প্রোগ্রাম করেছি।
তবে ঘটনায় বিরোধীরা তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। পাঁশকুড়া বিজেপি নেতা তথা তমলুক সাংগঠনিক যুব মোর্চার সভাপতি প্রতীক পাখিরা বলেন, পাঁশকুড়ায় তৃণমূলের দুই-তিনটি গোষ্ঠী লুটেপুটে খাচ্ছে। মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। ওরা পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধি জন্য বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ওদের দলের ব্যাপার যতই কম বলা হয় ততই ভালো।