তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দলের জেরে যুব তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হলেন ক্যানিং এর মাতলা ২ অঞ্চল সভাপতি বাদলকুমার হালদার। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান তথা যুব তৃণমূল নেতা উত্তম দাস ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাদল হালদার।
অভিযোগ, লকডাউনের জেরে কাজ হারানো মানুষজনদের ১০০ দিনের কাজের ফর্ম ফিল আপ করে দিচ্ছিলেন বাদলবাবু। এলাকাবাসীকে আমফানের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিতেও উদ্যোগী হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই কারণেই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান সহ যুব তৃণমূলের নেতারা তার উপর হামলা চালিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুব নেতৃত্ব।
তাদের দাবি, আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রামবাসীরা বাদলকে মারধর করেছে। পাল্টা বাদলের বিরুদ্ধে উপপ্রধান সনাতন হালদারের উপর হামলার অভিযোগ তুলেছেন ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পরেশরাম দাস।
পরেশ দাবি করেছেন, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির সাথে হাত মিলিয়ে বাদল এলাকায় দুর্নীতি করছে। সেই কারণেই গ্রামের মানুষ তাঁকে মারধর করেছে। ব্লক তৃণমূলের সভাপতিকে ‘চিটিংবাজ’ বলেও আখ্যা দেন পরেশ। যুব তৃণমূল সভাপতির অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল।