এবার নব্য তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে পতাকা হাতে রাস্তায় নামলেন আদি তৃণমূলীরা। মালদার চাঁদল বিধানসভার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বহর গ্রামের ঘটনা। এদিন তৃণমূলের প্রবীন কর্মীরা পতাকা হাতে রাস্তায় নামেন। পঞ্চায়েত সদস্য় নাজিমুল হকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তীব্র বিক্ষোভ দেখান আদি তৃণমূলীরা। এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে এলাকায় দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যেই তুলছেন আদি তৃণমূলীরা।
এদিকে তৃণমূলের একাংশ দলের নব্য কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত সদস্য় নজমুল হক কংগ্রেস থেকে জয়ী হয়ে তৃণমূলের সঙ্গেই কাজ করতেন। এরপর নব্য তৃণমূলীদের হাতে দলের রাশ চলে যায়। সেখানে আদি তৃণমূলীদের কোনও জায়গা নেই। তাদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই।
এক তৃণমূল কর্মী আসগর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা তৃণমূল করি। কংগ্রেসে নজমুল জিতেছিলেন। পরে সে তৃণমূলে আসে। তবে আমাদেরকে পাত্তা দেয় না। নিজের লাভের জন্য সে কাজ করে। লুটেপুটে খাওয়ার জন্য টিএমসিতে এসেছে। আমরা ওকে মেম্বার বলে মানব না। আমরা নতুন সদস্য় চাইছি। আমরা বুথ কমিটির মধ্যে রয়েছি। কিন্তু আমাদের কোনও গুরুত্ব নেই।
এক প্রবীণ তৃণমূল কর্মী বলেন, আবাস যোজনার ঘর আমরা পাই না। আমরা সরকারি কোনও সুবিধা পাই না। অপর এক মহিলা কর্মী বলেন, মেম্বার বলছে ঘর চলে এসেছে। কিন্তু আমরা ঘর পাচ্ছি না। এরপর বললাম ঘর কেন পাচ্ছি না। আমার কাঁচা বাড়ি। ঘরের তালিকায় নামও রয়েছে। কিন্তু ঘর পেলাম না। আমার কাছে টাকা চেয়েছিল। আমি হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এখন মেম্বার বলছে ওপর থেকে নাম কেটে দিয়েছে। তাহলে সেই মেম্বারকে কেন মানব? আমি কেন ঘর পাব না? যাদের পাকা বাড়ি, গাড়ি আছে তারা ঘর পেয়েছে।
এদিন এলাকায় মিছিলও করেন তারা। তাদের দাবি, বার বার অনিয়ম করছেন মেম্বার। এনিয়ে বলা হলেও শুনছে না।
নজমুল হক বলেন, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। রাস্তার কাজ দ্রুত হবে। আমরা সবাইকে নিয়ে চলতে চাইছি। আমরা সকলকে নিয়ে চলতে চাইছি, কিন্তু ওরা কথা শুনছে না। আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।