শুরুর দিনই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে একাধিক জেলায় ভণ্ডুল হয়ে গেল ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান ও মালদায় প্রকাশ্য বিবাদে জড়ালেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ মূলত একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো আমন্ত্রণ পানন দলের পুরনো কর্মীরা। এই নিয়ে শনিবার রীতিমতো লাঠালাঠি শুরু হয়ে যায় তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দলেরই বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। অভিযোগ, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি স্থানীয় ৪ পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদের ২ সদস্য-সহ অনেকে। এর পর শুরু হয় পথ অবরোধ। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে ক্যানিং – বারুইপুর সড়ক।
এদিন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলকেই বহিরাগত বলে সরব হন দলের একাংশ। স্থানীয় এক পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, আমরা পুরনো তৃণমূলকর্মী। অথচ বিধায়ক আমাদেরই কোনও অনুষ্ঠানে ডাকেন না। নিজের অনুগামীদের নিয়ে অনুষ্ঠান সারেন।
মালদার চাঁচলে তো এই নিয়ে বিবাদ লাঠালাঠিতে গড়ায়। এদিন মালতিপুর কমিউনিটি হলে ছিল বিধানসভার কর্মসূচি। সেখানেও আমন্ত্রণ পাননি অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। তার পর বাঁশ নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যায় দুপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, স্থানীয় নেতা ইমদাদুল হকের নাম নেই আমন্ত্রিতের তালিকায়।
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে আবার পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ছবিটা ছিল স্পষ্ট। সেখানে বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের বিরোধী গোষ্ঠীর কোনও নেতাকে অনুষ্ঠানে দেখাই যায়নি। যদিও আয়োজকদের দাবি, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সবাইকেই।
গত সোমবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে দলীয় কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার কর্মসূচির প্রথম দিনেই বোঝা গেল তৃণমূল রয়েছে তৃণমূলেই।