সম্প্রতি বীরভূমে অমিত শাহ এসে লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গ–বিজেপিকে। তা নিয়ে যদিও বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। বাংলায় বিজেপি নেতাদের এই টার্গেট বেঁধে দেওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে আরও চাপ বাড়ল তাঁদের উপর। কারণ এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৫ ছাপিয়ে ৪০ আসন টার্গেট করে লড়াইয়ে নামছে। ভগবানগোলায় বুথ অধিবেশনে এমনটাই ঘোষণা করেছেন অভিষেক। তাতে বিজেপিকে আরও লড়াই করতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপরীতে।
এদিকে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য ৪০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ‘তৃণমূলের যদি ৩৫–৩৬ জন সাংসদ থাকতেন, এদের টাকা আটকে রাখার ক্ষমতা হতো না। পেট্রলের দাম আরও ১০ টাকা কমত। রান্নার গ্যাসের দাম কমত ৩০০ টাকা। ভোট ভাগাভাগির কারণে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। একটি আসন কম পেলে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। কিন্তু একটি আসন তৃণমূল জিতলে আপনার অধিকারের টাকা পাবেন। আগামীদিন ৪০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঝাঁপাতে হবে।’
অন্যদিকে ভগবানগোলা থেকে অভিষেক দলের নেতা–কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে আজ ২৩টি আসন। সেখান থেকে ৩৫–৪০টি আসন হলে বিজেপি বাংলার টাকা আটকে রাখার সাহস পেত না। তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা না বাড়লে বাংলার মানুষই বঞ্চনার শিকার হবেন। এবার লোকসভা নির্বাচনে অনেক সাংসদ টিকিট পাবেন না বলে দলীয় সূত্রে খবর। নতুন মুখ আনা হবে। যাতে আসন বাড়ে। মালদা–মুর্শিদাবাদে প্রবেশের মুখেও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখ পড়ার মতো। জনতার এই সমর্থন অভিষেকের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বলেই বাংলার সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে ৪২টির মধ্যে ৪০টি আসনকে টার্গেট করেছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৩৪টি আসন জিতেছিল তৃণমূল।
আর কী বলেছেন অভিষেক? বিজেপির কাছে এটাই বাড়তি চাপ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস যদি মানুষের ব্যাপক সমর্থন পায় তাহলে জেতা আসন ধরে রাখা যাবে না। তার পর ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা এককথায় অসম্ভব। বাংলা থেকে লোকসভা নির্বাচনে যদি মানুষের সমর্থন না পাওয়া যায় তাহলে রাজনৈতিকভাবে বড় ক্ষতি হবে বিজেপির। আর একবার যদি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলা নিয়ে উদাসীন হয়ে পড়েন তাহলে আর উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। এখানেই অভিষেক বলেন, ‘আগামী দিনে আমাদের ৪০ আসনের লক্ষ্যে ঝাঁপাতে হবে। এই মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনে তিন করতে হবে।’