শিক্ষিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নুর আলমকে শো-কজ করল দল। তাঁকে শো-কজের জবাব দেওয়ার জন্য ১ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন অভিযুক্তের পাশে দাঁড়ানো হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলেরই একাংশে।
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সাংবাদিক সম্মেলন করে নুর আলম হোসেনকে শোকজের কথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যকারী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ও।
বিনয় বাবু বলেন, “দলের সিতাই বিধানসভার ওয়ার্কিং কমিটির আহ্বায়ক নুর আলম হোসেনের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকা ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। ওই অভিযোগের কথা জানার পর সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারপরেই নুর আলম হোসেনকে শো-কজের সিদ্ধান্ত।‘
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে শো-কজ করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না-পেলে বহিষ্কারের পথে হাঁটবে দল।"
সম্প্রতি এক শিক্ষিকা তৃণমূল কংগ্রেসের দিনহাটার প্রভাশালী নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনের বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ওই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেলে আজও তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। উলটে অভিযুক্তের স্ত্রীকে দিয়ে ধর্ষণের শিকার মহিলা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পালটা মারধরের অভিযোগ করানো হয়। ওই ঘটনার পর ধর্ষিতা সংবাদ মাধ্যমে নিজে লিখতে শুরু করেন। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো তো বটেই তৃণমূলের অন্ধরেই অনেকে এর সমালোচনা শুরু করেন।
এরপর এদিন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই শোকজের কথা ঘোষণা করেন।
শো-কজ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, ‘তৃণমূলের নির্দেশেই ওই নেতাকে এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তৃণমূলের সবাই খারাপ নয়। তবে দিনহাটায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা চোর, গুন্ডা, বদমাইশদের ছাড়া চলতে পারে না।‘
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।