অভিযোগ নেয়নি থানা। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে হল পুলিশকে। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের। অভিযোগকারী নান্টু সর্দারের দাবি, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ৪ তৃণমূল নেতা। টাকা ফেরত চাইলে তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তারা। দেয় প্রাণনাশের হুমকি। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে নান্টুবাবুর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানা এলাকার দশগ্রাম পঞ্চায়েতের রামচকের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা বুদ্ধদেব মিশ্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের দশগ্রাম এলাকার প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশঙ্কর উত্থাসিনী ও বর্তমান অঞ্চল সভাপতি অতনু সিং। পরের বছর জানুয়ারিতে নান্টু সর্দারের কাছ থেকে আরও ৪ লক্ষ টাকা নেন তাঁরা। জমি বিক্রি করে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
দীর্ঘদিন পার হলেও চাকরির নিয়োগপত্র না পাওয়ায় তৃণমূল নেতাদের কাছে টাকা ফেরত চান নান্টু। বহু চাপাচাপির পর নান্টু সর্দারকে ৬ লক্ষ টাকার একটি চেক দেন বুদ্ধদেব মিশ্র। কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে।
এর পর ফের টাকা ফেতর চেয়ে তৃণমূল নেতাদের চাপ দিতে শুরু করেন তিনি। এর জেরে গত বছর ১১ অক্টোবর তাঁকে বাড়িতে ডেকে পাঠান বুদ্ধদেব। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন গৌরীশংকর ও অতনু। তিন জনে মিলে নান্টুকে ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা।
এর পর বাউন্স হওয়া চেক নিয়ে সবং থানায় হাজির হন নান্টুবাবু। অভিযোগ, থানার আধিকারিক তাঁকে পুজোর পরে আসার পরামর্শ দেন। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতের নির্দেশে বুধবার গৌরীশংকর উত্থাসিনীকে গ্রেফতার করেছে সবং থানার পুলিশ। বাকি তৃণমূল নেতাদের এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।