চিকিৎসায় গাফিলতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওষুধের দোকান ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে হাওড়ার ডোমজুড়ের সাঁপুইপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূলের হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনির জেলার যুব সভাপতি দেবব্রত মণ্ডলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন দোকানের বৃদ্ধ মালিক ভাস্কর সেনগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী নিবেদিতাদেবী। গুরুতর আহত অবস্থায় ভাস্করবাবুকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আক্রান্ত দোকানের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ৭.৩০ মিনিট নাগাদ একটি ৮ বছরের অসুস্থ শিশুকে নিয়ে দোকানে আসেন মা ও বাবা। কিন্তু তখন দোকান সংলগ্ন ডাক্তারের চেম্বারে কোনও ডাক্তারবাবু ছিলেন না। প্রায় ৩০ মিনিট পর সেখানে পৌঁছন এক ডাক্তারবাবু। ততক্ষণে শিশুটি প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন চিকিৎসক। কিন্তু শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।
এখনও টাটকা গত বছরের স্মৃতি, পুজোয় হামলার ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা
এর পরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বাবু মণ্ডল ও তার দলবল দোকানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দোকান থেকে যাবতীয় ওষুধপত্র রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় দোকানের শো কেসে। লুঠপাট করা হয় টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন দোকানের বৃদ্ধ মালিক ভাস্করবাবু। তাঁকেও তৃণমূলি গুন্ডারা মারধর করে বলে অভিযোগ। ভাস্করবাবুকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী নিবেদিতাদেবী। গুরুতর আহত ভাস্করবাবুকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
আক্রান্ত দোকান মালিক জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই টাকা চেয়ে হুমকি দিচ্ছিল বাবু। আমার দোকানে হামলা চালানোর ছুতো খুঁজছিল ও। স্থানীয়দের প্ররোচনা দিয়ে ও এই কাজ করিয়েছে। সময় মতো পুলিশ না পৌঁছলে ওরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত।’ শনিবার রাতে নিশ্চিন্দা থানায় দেবব্রত মণ্ডল ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভাস্করবাবু।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাবু মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘ঘটনার সময় আমি ওখানে ছিলামই না। আমি গেছিলাম বিধায়কের পুজোর উদ্বোধনে। ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছই।’