বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বাগদার পর এবার বনগাঁয় চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

বাগদার পর এবার বনগাঁয় চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

প্রতীকি ছবি

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের আদিবাসী সেলের সভাপতি গোপাল মাহাত বনগাঁ হাই স্কুলের শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী বনগাঁ লাগোয়া ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য।

এবার চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল বনগাঁর এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁকে ‘বনগাঁর চন্দন মণ্ডল’ নামে উল্লেখ করে ২ দিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে হইচই। অভিযোগ, চাকরি পাইয়ে দেওয়া ও বদলির জন্য বহু মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপালবাবু।

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের আদিবাসী সেলের সভাপতি গোপাল মাহাত বনগাঁ হাই স্কুলের শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী বনগাঁ লাগোয়া ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এমনকী শিক্ষক বদলির জন্যও টাকা নিয়েছেন তিনি। বনগাঁর আমলাপাড়ায় গোপালবাবুর প্রাসাদের মতো বাড়িও নজরে পড়েছে সবার।

গোপালবাবুকে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করে এক যুবক বলেন, স্কুলে চাকরির জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। চাকরি হয়নি। এর পর টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করেন তিনি। অনেক চাপাচাপির পর তিনি আংশিক টাকা ফেরত দিয়েছেন।

দলের নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্য বলেন, ফেসবুক পোস্টটা দেখেছি। দল এসব সমর্থন করে না। যে টাকা দিয়েছে আর যে নিয়েছে এটা তাদের মধ্যের ব্যাপার।

বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘গোপাল মাহাত বহু বছর ধরে টাকা তুলছে। সবটাই ওপেন সিক্রেট। খোঁজ নিলে দেখা যাবে সেই টাকার বড় অংশের ভাগ নিয়েছেন ওপর তলার তৃণমূল নেতারা। এখন তারা সাধু সাজছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে গোপালবাবু বলেন, আমি সক্রিয় রাজনীতি করি। বহু মানুষ নানা সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসেন। সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। তার বিনিময়ে টাকা নিয়েছি এই অভিযোগ প্রমাণ করা যাবে না।

 

বন্ধ করুন