বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তরবঙ্গ। কয়েকদিন আগে ময়নাগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের জোনাল সভাপতিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এবারে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান আতিয়ার রহমানের গাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ বিজেপির দিকেই। রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আতিয়ার রহমানের গাড়িতে হামলা হয়। জানা গিয়েছে, উপপ্রধান–সহ চারজন তৃনমূল কংগ্রেস নেতা বেলাকোবা থেকে নিজস্ব গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। আর বিজেপি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বেলাকোবার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের গাড়িতেই ফিরছিলেন আতিয়ার রহমান। সঙ্গে ছিল তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী। বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছে তিনি গাড়ি থামিয়ে নেমেছিলেন। তখন একদল লোক লাঠি–বল্লম নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উপপ্রধানের দাবি, তিনি হামলার সময়ে পড়ে গিয়েছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে এবং সঙ্গীদের মারধর করে বলে তাঁর দাবি।
রাজগঞ্জ থানা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে সাউ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়ালে আচমকা হামলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আতিয়ার অবশ্য বলেন, ‘কারা হামলা চালাতে এসেছিল চিনতে পারিনি।’ যদিও রাজগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ‘বিজেপি এখন রাজ্যজুড়ে ভয় দেখাতে আমাদের দলের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা বিজেপির সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত দাবি তৃণমূলের। ধৃতদের সঙ্গে উপপ্রধানের আগে থেকে পরিচয় ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে। ঘটনার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদের জের রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ড্রাইভার অজ্ঞান ছিলেন, মাটিতে পড়ে ছিলেন উপপ্রধান। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট নয়। নির্বাচন আসতেই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবাই আতঙ্কে সিঁটিয়ে আছেন। এখন রাতের দিকে অনেকেই বেরোচ্ছেন না। পুলিশের উপর ভরসা করা যাচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয়দের।