তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ব্যান্ডেড লাগানো। তখনই প্রশ্ন উঠেছে মানুষের মনে আঙুলে ব্যান্ডেড লাগানো কেন? দু’হাতের একাধিক আঙ্গুলেই ব্যান্ডেড লাগানো রয়েছে। কোচবিহার থেকে মালদা এই ছবিই সবাই দেখেছে। ওই অবস্থাতেই জনসংযোগ যাত্রা করে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ইতিমধ্যেই মোট ৬ জেলায় ১০ দিন ধরে জনসংযোগ যাত্রা করছেন অভিষেক। এখন এই জনসংযোগ যাত্রায় জনসভা কমিয়ে দিয়ে রোড শো, গ্রামে যাওয়া, মানুষের ঘরে ঢুকে পড়ছেন তিনি। তাতে তাঁকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করছেন মানুষজন। যখন মানুষের সঙ্গে হাত মেলাতে যাচ্ছেন বা হাত নেড়ে সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তখন ব্যান্ডেড–সহ ছবি দেখা যাচ্ছে।
কেন ব্যান্ডেড লাগাতে হয়েছে হাতে? এই জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে কখনও বাঁশের বেড়া টপকে নিজেই জনতার কাছে ধরা দিয়েছেন। আবার কখনও সবার নজরে আসতে গাড়ির মাথায় উঠে গিয়েছেন। এইসব করতে গিয়ে বাঁশের চোঁচে এবং কাঠে আঘাত পেয়ে হাত রক্তাক্ত হয়েছিল। তাই ব্যান্ডেড হাতে লাগিয়ে ওই যন্ত্রণা চেপে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতের একাধিক জায়গায় ক্ষত হয়েছে তাঁর। যা নিয়ে আজও জনসংযোগে রয়েছেন তিনি।
কেমন করে বাড়ল ব্যান্ডেডের সংখ্যা? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচবিহার থেকে মালদা সফরে প্রথম আঘাত লাগে মাথাভাঙায়। তারপর থেকে যত সভা–র্যালি বেড়েছে ততই চোটের সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু তিনি তাতে দমে না গিয়ে ব্যান্ডেড লাগিয়ে প্রচার কাজ করে চলেছেন। আর এভাবেই বাড়তে শুরু করেছে ব্যান্ডেডের সংখ্যা। একটা দিয়ে শুরু হলেও এখন দু’হাতে শোভা পাচ্ছে ব্যান্ডেড দিয়ে ক্ষত আটকানোর ছবি। এখন দু’হাতের অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছে ব্যান্ডেড।
আর কী জানা যাচ্ছে? জনসংযোগ কর্মসূচিতে জনতার ভিড়ে মিশে হাত বাড়াতেই দেখা যাচ্ছে আঙুল জড়িয়ে রয়েছে ব্যান্ডেড। তাতেও উৎসাহী জনতা তাঁকে ছুঁতে চাইছেন। কিন্তু তারপরও কাউকে না বলছেন না তিনি। এমনকী এটা করতে গিয়ে অন্যের নখে লাগছে আঁচড়। সেটাও সহ্য করছেন তিনি। আবার তাঁর ওই হাত ধরেই অনেকে টানছেন দেখা যাচ্ছে। তখন চোট বাড়লেও সহ্য করছেন তিনি। রাস্তায় এগোতে এগোতে হাত মেলাচ্ছেন সবার সঙ্গে। এইসব কারণে অভিষেকের হাতে বেড়ে চলেছে ব্যান্ডেডের সংখ্যা। আর তিনি বলছেন, ‘এটাও মানুষের ভালবাসা।’