বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Anubrata Mondal: আসানসোল জেলে পাঠানো হোক, মোক্ষম যুক্তিতে আদালতে আবেদন অনুব্রতর

Anubrata Mondal: আসানসোল জেলে পাঠানো হোক, মোক্ষম যুক্তিতে আদালতে আবেদন অনুব্রতর

তখন কলকাতায় অনুব্রত মণ্ডল।

গত ২১ মার্চ অনুব্রতকে তিহাড় জেলে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে এখানে ১৩ দিন রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। স্বাভাবিকভাবেই তিহাড়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছে অনুব্রতর। খাবার সমস্যা থেকে শুরু করে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। মশার কামড়ে ঘুম হচ্ছে না। ভাষার সমস্যাও হচ্ছে। তাঁকে সেখানে ফেরানো হোক। নানা সমস্যার কথা লেখা হয়েছে আবেদনে।

তিহাড় জেল থেকে আসানসোল জেলে ফিরে যেতে আবেদন করলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করলেন অনুব্রত মণ্ডল। আগামী সপ্তাহে এই আবেদনের উপর শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে থাকতে কেষ্টর কষ্ট হচ্ছে। তাই তাঁকে যাতে আসানসোল জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তার জন্য আদালতে আবেদন করলেন তাঁর আইনজীবী। এখানে নানা ধরনের সমস্যার কথা লেখা হয়েছে আবেদনে।

এমন আবেদনের কারণ কী?‌ তিহাড় থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে ফিরতে চেয়ে নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আইনজীবীর দাবি, মূল মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতায়। তাঁকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে এসেছিল। এবার তো তাঁকে কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। অনুব্রত মণ্ডলের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চাইলে আসানসোল জেলেই সেটা হতে পারে। পাশাপাশি বলা হয়, আসানসোলের সিবিআই কোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের একটি মামলা চলছে। আগামী ৩১ মার্চ সেই মামলার শুনানি। তাই তাঁকে সেখানে ফেরানো হোক।

ঠিক কী যুক্তি দেখানো হয়েছে? অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী যেটা বলছেন সেটা হল, আইনে বলা হয়েছে, যে জায়গা থেকে কোনও অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তাঁকে যদি অন্য রাজ্যে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে তাঁর আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রথম থেকেই অনুব্রতর আইজীবীরা রাউজ অ্য়াভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার খোদ অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করলেন। আগেই তাঁর জামিনের আবেদন ফাইল করা হয়েছে। আর ইডির দাবি, গরু পাচার মামলায় সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলি হুসেনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল সংশোধনাগারে থাকার সময় মামলার খরচ চালানোর দায়িত্ব ছিল এই পুলিশ অফিসারের উপর। তাঁর মাধ্যমেই দিল্লি–কলকাতায় টাকা যেত।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ গত ২১ মার্চ অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে এখানে ১৩ দিন রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই তিহাড়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছে অনুব্রতর। খাবার সমস্যা থেকে শুরু করে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। মশার কামড়ে ঘুম হচ্ছে না। ভাষার সমস্যাও হচ্ছে। সূত্রের খবর, নিজের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে এদিন অনুব্রত জানান, তাঁর ওইসব ওষুধ খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলি ছাড়া তাঁর চলবে না। সুতরাং এই নানা অসুবিধা এবং আইনি কারণে আসানসোল জেলে ফেরাতে আবেদন করেছেন কেষ্ট।

বন্ধ করুন