তৃণমূল সুপ্রিমো কেষ্টর জেলায় যাচ্ছেন—এই খবর বারবার সম্প্রচারিত হচ্ছিল টিভিতে। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সে খবরে চোখ রেখেছিলেন স্বয়ং কেষ্ট। ভেবেছিলেন তাঁকে নিয়ে কোনও কথা বলবেন নেত্রী। কিন্তু সেখানে একবারও তাঁর উচ্চারণ করতে দেখা যায়নি দলনেত্রীকে। আসানসোল জেল সূত্রে খবর, উত্তেজনায় ভরপুর মেজাজ নিয়ে তাঁর চোখ ছিল টেলিভিশনের পর্দায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটিতে তাঁর বিরোধী বলে পরিচিত নেতাদের ঠাঁই দিয়েছেন দেখে টিভি বন্ধ করে দেন অনুব্রত মণ্ডল। আর মঙ্গলবার সারাদিন কারও কথাও বলেননি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।
এদিকে বোলপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। তারপর বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটিতে সদস্য সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে সাত করা হয়। সেখানে জায়গা পান নানুরের নেতা কাজল শেখ। যিনি অনুব্রতর বিরোধী বলে পরিচিত। এটা টিভিতে দেখছিলেন তিনি। বীরভূমে ঠিক কী ঘটছে? সকাল থেকে আগ্রহী দেখাচ্ছিল কেষ্টকে। তাই প্রাতরাশের পরে জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে টিভির সামনে বসে পড়েন তিনি। কিন্তু কোর কমিটির খবরে সব ওলটপালট হয়ে যাওয়ায় টিভি বন্ধ করে দেন তিনি বলে জেল সূত্রে খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? অনুব্রত মণ্ডলের অসুস্থতার জন্য রাতে তাঁর দিকে বাড়তি নজর রাখা হয়। সেখানে কারারক্ষীরা দেখতে পান, তিনি সেলের ভিতরে পায়চারি করছেন আর বিড়বিড় করে কি সব যেন বলছেন। ওষুধ খেয়েছেন কি না জিজ্ঞাসা করলে অতিসংক্ষিপ্ত জবাব দেন তিনি। আর প্রতি মঙ্গলবার তিনি খুব সকালে উঠে স্নান সেরে জেলের হনুমান মন্দিরে পুজো দেন। তবে এদিন সেলের বাইরে পা রাখেননি। গোটা দিন চুপচাপ ছিলেন। আর টিভির দিকে মুখও ঘোরাননি বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে গত ১৯ জানুয়ারি আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে বীরভূম থেকে আসা দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কেষ্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে টোটকা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে এবার টিভি দেখার পর চুপ করে গিয়েছেন তিনি। আজ, বুধবারও তিনি নিজের মনে কথা বলছিলেন জেলের ভিতরে। কোর কমিটিতে কাজলের প্রবেশ তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই এখন কার্যত হতাশ অনুব্রত মণ্ডল। এই নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও কথা বলছেন না কেষ্ট বলে জেল সূত্রে খবর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup