দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট গতকালই নির্দেশ দেয়, রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে পারবে ইডি। আর এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকাল সকাল অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সংশোধানাগার থেকে বের করে আনা হয়। সকাল আটটা নাগাদ কেষ্টকে গাড়িতে তোলা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, তাঁকে দুবরাজপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্য একটি মামলায় তাঁকে দুবরাজপুরের আদালতে তোলা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে তদন্তকারী বা জেল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও নিশ্চিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা দিল্লিতে না নিয়ে যেতে পারে, এর জন্য সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করে তৃণমূল নেতারা। এই আবহে ২০১৪ সালের এক মামলায় অনুব্রতকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩ জুন দুবরাজপুর টাউন থানার সাব ইন্সপেক্টর অমিত চক্রবর্তী খুনের মামলায় অনুব্রতর নাম জড়ালেও সাক্ষ্যর অভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেনি পুলিশ। তবে সেই মামলাতেই এখন পুলিশ অনুব্রতকে হেফাজতে পেতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যায়, দুবরাজপুরে একটি পুকুর সংস্কার নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১৪ সালের জুন মাসে। সেই ঝামেলার মাঝেই বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন পুলিশকর্মী অমিত চক্রবর্চী। দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে ৫৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শেষে তিনি মারা যান। ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের নামে অভিযোগ ওঠে। পরে চার্জশিটে অভিযুক্ত ৩৭ জনেরই নাম বাদ পড়ে। এই আবহে চার্জশিটে অনুব্রতর নাম ছিল না। এই আবহে এই মামলায় অনুব্রতকে দুবরাজপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তা যদি হয়, তাহলে কেষ্টর দিল্লি যাত্রা রুখতে এই মামলায় তাঁকে জড়ানো এক ‘কৌশল’ হতে পারে বলে মত বিরোধীদের।