অবশেষে জামিনে জেল থেকে মুক্তি পেলেন ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলাম। আর আরাবুল ইসলাম জেল থেকে বেরিয়ে আসতেই উচ্ছ্বাস দেখা দেয় কর্মীদের মধ্যে। আজ, বুধবার জেল থেকে বেরিয়ে এসেই আরাবুল ইসলামের স্পষ্ট বার্তা, ভাঙড় থেকে তাঁকে সরানো যাবে না। তিনি ভাঙড়েই আছেন। জামিনে বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান আরাবুল ইসলাম। তারপরই কর্মী–সমর্থকদের ভালবাসায় আপ্লুত ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলাম। এই কথা বলার কারণ হল, ১১ বছর পর ভাঙড় –২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সরানো হয়েছে আরাবুলের নেম প্লেট।
এদিকে টানা পাঁচ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এমন মন্তব্য করলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে জেল থেকে ছাড়া পান আরাবুল ইসলাম। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে আরাবুল বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে যে ফল হয়েছে, তাতে আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আবার রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত।’ তবে আরও কিছু কথা একসপ্তাহ পর বলবেন বলে জানান আরাবুল। ২০১৩ সালে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন আরাবুল। নেমপ্লেট দিয়ে আরাবুলের নামে আধুনিক মানের ঘর তৈরি করা হয়। যা ছিল ২০২৪ সালের ৯ জুন পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ‘খাড়গেজি, কী হল আপনাদের?’ অধীরকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস সভাপতিকে খোঁচা শমীকের
অন্যদিকে জেলে যেতেই সেই নেমপ্লেট সরে গিয়েছে। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়–২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে তাঁর নেমপ্লেট সরিয়ে দিলেও, তাঁকে সরানো সহজ হবে না। পরিষ্কার ভাষায় এদিন আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ভোটে আমি সভাপতি হয়েছি। আমি এখন অসুস্থ। যা বলার একসপ্তাহ পর বলব।’ পঞ্চায়েত সমিতির সহ–সভাপতি সোনালি বাছাড় এখন বসেছেন আরাবুলের চেয়ারে। আরাবুলের বিরুদ্ধে খুন–সহ ৯টি মামলা দায়ের হয়। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।
এছাড়া জেল থেকে মুক্তি পেতেই ‘আরাবুল ইসলাম জিন্দাবাদ’ স্লোগান ওঠে। ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করা হয় তাজা নেতাকে। পরনে কালো শার্ট, কালো ট্রাউজার্স। ক্লান্ত শরীর। অনুগামীদের দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন আরাবুল। কান্না চেপে কাঁপা কাঁপা গলায় আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অসুস্থ। সুস্থ হলে ভাঙড়ের মিডিয়াকে ডেকে সব কথা বলব। কেউ ভাঙড় কেড়ে নিতে পারে না। প্রশাসনে অনেক ব্যাপার আছে। কেউ কাউকে হটিয়ে দিতে পারে না। আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। পঞ্চায়েত সদস্যরা আমায় ভোট দিয়েছেন। সবটা আমি একসপ্তাহ পরে বলব।’ এখন দেখার সাত দিন পর কোন তথ্য দেন তাজা নেতা।