সাইকেল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়া এক ব্যক্তিকে পাতপেড়ে খাওয়ালেন তৃণমূল নেতা। সোমবার এই ঘটনা বহরমপুর শহরের। সঙ্গে চুরি ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করলেন তিনি। প্রকাশ্যে ঘটনায় তৃণমূল শহর সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেও আড়ালে বিজেপির কটাক্ষ, ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।’
গত কয়েকদিন ধরে বহরমপুর শহরের একাংশে সাইকেল চুরি হচ্ছে বলে খবর ছড়িয়েছিল। তক্কে তক্কে ছিলেন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে শহর তৃণমূল সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে এক চোর। সঙ্গে সঙ্গে বীরত্ব দেখাতে সেখানে জড়ো হয়ে যায় কিছু মানুষ। চোরকে পেটানোর মহান কর্তব্যে ব্রতী হন তাঁরা। জেরার মুখে চোর জানায়, বাড়ি তাঁর বহরমপুরেই। লকডাউনে কাজ নেই। তাই চুরির পেশায় এসেছেন। কিন্তু এখনো হাত পাকিয়ে উঠতে পারেননি। তাই ধরা পড়েছেন হাতেনাতে।
এরই মধ্যে খবর যায় নাড়ুগোপালবাবুর কাছে। চোরকে ডেকে পাঠান তিনি। নাড়ুগোপালবাবুর বাড়ি গিয়ে চোরের চক্ষু চড়কগাছ। সেখানে টেবিলে সাজানো রয়েছে পঞ্চব্যঞ্জন। প্রথমে চোরকে পেট পুরে খাওয়ান নাড়ুগোপালবাবু। তার পর চোরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানেন সত্যিই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পরিবারটি। এর পর চোরের জন্য কাজের ব্যবস্থা করেন তিনি। সঙ্গে চোরকে কিছু অর্থসাহায্যও করেন স্থানীয়রা।
নাড়ুগোপালবাবু বলেন, ‘লকডাউনে অনেকের কাজ চলে গিয়েছে। তাই এসব কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে অনেকে। ওকে পুলিশে ধরলে জামিন করাতে ছুটতে হতো আমাদেরই। তাই একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিলাম।’
নাড়ুগোপালবাবুর উদ্যোগকে প্রশংসা করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তবে পিছনে তাদের কটাক্ষ, ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। ধরা পড়ে যাওয়া চোরের ওপর তৃণমূলের সহানুভূতি স্বাভাবিক।’