চাকরি দিয়ে দুর্নীতি, চাকরি না দিয়ে দুর্নীতি—এই অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য– রাজনীতি। এবার তার মধ্যেই এক বিরল ঘটনা ঘটে গেল। চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলে অভিযোগ। কিন্তু টাকা দিলেও তাঁদের কেউই চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগেই তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সেই নেতাকে গাছে বেঁধে পেটালেন ডেবরার মানুষজন।
ঠিক কী ঘটেছে ডেবরায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, শনিবার সকালে ডেবরার তিন নম্বর অঞ্চলের সত্যপুর এলাকার ফাঁকা জায়গায় গাছের সঙ্গে দড়ি বেঁধে রাখা হয় ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা তথা ডেবরা ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ পাত্রের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েদের চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে ছিলেন তিনি বলে অভিযোগ।
কেন তাঁকে বেঁধে মারা হল? জানা গিয়েছে, টাকা নিয়ে দিলীপ চাকরি দিতে পারেননি। তখন তাঁর কাছ থেকে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। তখন তিনি সেই কথা কানে তোলেননি। এমনকী এড়িয়ে চলতে শুরু করেন দিলীপ। অবশেষে আজ তাঁর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। তারপরই গাছে বেঁধে চলে বেধড়ক মারধর। তাতে প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়েন এই নেতা।
উল্লেখ্য, এই একই অভিযোগে গত অগস্ট মাসেই গাছে বেঁধে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলেকে পেটানোর ঘটনায ঘটেছিল। তার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। টাকা ফেরতের দাবিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শিবশঙ্কর নায়েকের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁকে না পেয়ে তাঁর ছেলেকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্ত নেতার পঞ্চায়েত সদস্যা স্ত্রীকেও রাস্তায় ফেলে মারেন মহিলারা।