আলিপুরদুয়ারের জেলা পরিষদের সদস্য তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদ্মা রায়কে সম্প্রতি বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। কিন্তু নেত্রীর দাবি, তিনি সভাধিপতির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। সভাধিপতিই তাঁকে ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি তৃণমূলেই আছেন। দলে ফেরার আবেদন জানানো হলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রে খবর, গত বিধানসভা ভোটের আগে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেন। মোহন শর্মার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত পদ্মা। তৃণমূলের অভিযোগ, পদ্মা তৃণমূলে থেকেও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা পরিষদের এই প্রাক্তন সদস্যা। তিনি জানান, সভাধিপতির নির্দেশেই জেলা পরিষদের বিভিন্ন বৈঠকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদের বেআইনি টেন্ডার প্রক্রিয়া-সহ অনেক ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় সভাধিপতির রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন।
এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী জানান, ‘যিনি নির্বাচনের আগে দলকে বিপদে ফেলে বিজেপির দিকে ঝোঁকেন, তিনি তৃণমূলে থাকতে পারেন না। সঠিক কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, অপসারিত এই তৃণমূল নেত্রীর বাড়ি কালচিনিতে। তৃণমূলের তরফে তাঁকে দলে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা দেখানো হয়েছে।