পুজোর আগে ফের একবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন দেখা করার পর নিহত ছাত্রর বাবা-মায়ের হাতে তিনি পুজোর নতুন বস্ত্র তুলে দেন। একই সঙ্গে তিনি মৃত ছাত্রের পরিবারকে অশ্বাস দিয়েছেন, দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। এর জন্য রাজ্য সরকার সবচেয়ে ভালো উকিলদের কাজে লাগিয়েছে বলে তিনি জানান। একইসঙ্গে উকিল যাতে পরে বিক্রি না হয়ে যায় সেবিষয়টিও রাজ্য সরকার মাথায় রেখেছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: নয়া তদন্ত নয়, কমিটির রিপোর্টই খতিয়ে দেখবে যাদবপুরের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড
এদিন নদিয়ার রানাঘাটে নিহত ছাত্রর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার সময় দেবাংশুর সঙ্গে ছিলেন রানাঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তো আর কোনওভাবেই ছাত্রকে ফিরে পাবে না তার পরিবার। কিন্তু, তার বাবা মা কেমন আছেন সেটা জানতেই আবারও একবার তাঁর বাড়িতে এসেছেন। যদিও নিহত ছাত্রর বাবা-মা প্রথমে পুজোর পোশাক নিতে চাননি। পরে দেবাংশুর অনুরোধে তাঁরা সেই বস্ত্র গ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটান। এরপর তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তিনি বলেন, ‘পুজোর সময় মায়েদের সন্তানের কথা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। তাই পুজোর আগে ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। ছাত্রের মাকে মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। ছাত্রের ভাইয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। সেই কারণে ওনাকে শক্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।’
নিহত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত নিয়ে দেবাংশুকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তদন্ত এগোচ্ছে। দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। তদন্ত পুরো গতিতে চলছে। রাজ্য সরকার সবচেয়ে ভালো উকিলদের এরজন্য কাজে লাগিয়েছে। যারা এই অপরাধ করেছে তারা কোনওভাবে যাতে ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারে তার সর্বশেষ চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকী উকিল যাতে পরবর্তীকালে বিক্রি হতে না পারে সে বিষয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলেই বোঝা যাচ্ছে এই তদন্তকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার।’ এদিন দেবাংশু জানান, তিনি আবারও মৃত ছাত্রর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে যায় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। সেই ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একজন জামিনে মুক্ত রয়েছে।