পাকা বাড়ির মালিক হয়েও আবাসের তালিকায় নাম তৃণমূল নেতার। সেই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে নতুন বিতর্কে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের ২ ভাই। বিজেপির প্রশ্ন, কোন জাদুবলে ৫ বছরে পাঁচমহলা বাড়ি বানিয়ে ফেললেন তাঁরা তার তদন্ত চাই।
পাত্রসায়রের বালসী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানপুকুর মাঝিপাড়ায় বাড়ি তৃণমূল নেতা নিমাই মাঝি ও আনন্দ মাঝির। নিমাই তৃণমূলের অঞ্চল সহসভাপতি। আনন্দ তৃণমূলের অঞ্চল কোর কমিটির সদস্য। সম্প্রতি এলাকায় আবাসের খসড়া তালিকা পৌঁছলে দেখা যায় তাতে নাম রয়েছে ২ জনেরই। অথচ গ্রামেই প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে তাদের। এর পরই তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে বিডিওর কাছে আবেদন করেন তাঁরা। যদিও নিমাই মাঝির দাবি, ২০১৮ সালে যখন আবাসের তালিকা তৈরি হয়েছিল তখন পাকা বাড়ি ছিল না তাঁদের। গত কয়েকবছরে বাড়িটি তৈরি করেছেন তাঁরা। তৃণমূলের দাবি, সততার নজির গড়ে আগে ভাগে তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
কিন্তু তৃণমূলের সততার তত্ত্ব মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, ২০১৮ সালে যখন আবাসের তালিকা তৈরি হয়েছিল তখন এলাকায় তৃণমূলের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। সেই সুযোগে নিজেদের ইচ্ছামতো প্রকাশ্যে দুর্নীতি করেছেন তৃণমূল নেতা। কারও প্রতিরোধ করার সাহস হয়নি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটা বদলে গিয়েছে। জেলায় শক্তি বেড়েছে বিজেপির। যার ফলে মানুষ এখন দুর্নীতির প্রতিবাদ করছে। সেই গণরোষের ভয়েই তালিকা থেকে নাম কাটাতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূল নেতা।
বিজেপির প্রশ্ন, ২০১৮ সালে যে তৃণমূল নেতা মাটির বাড়িতে থাকতেন ৫ বছরে তিনি কী করে পাঁচমহলা বাড়ি বানালেন তার তদন্ত হওয়া দরকার। সত্যিই যদি ৫ বছরে এতবড় বাড়ি তৈরি হয়ে থাকে তাহলে তার পিছনে দুর্নীতি ও কাটমানি রয়েছে।