শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের ভাঙনের ছবিটা স্পষ্ট। পরপর 'উইকেট' পড়েই চলেছে। দলবদলের খাতায় নাম–লেখানো চরিত্ররা কেউ হেভিওয়েট, কেউ মাঝারি মাপের নেতা। পদ্মাসনে বসার হিড়িকে এগিয়ে সবাই। তবে রাজ্য–রাজনীতিতে আগে যা ঘটেনি এবার তাই ঘটল। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি নিয়েই বিজেপির অফিসে হাজির নেতা। এই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে। যা নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সহ–সভাপতি শংকর হালদার দলবদল করছেন অন্যদের মতোই। বুধবার তাঁর যোগদান ছিল বিজেপিতে যোগদান মানে অমিত শাহ–নরেন্দ্র মোদীর ছবি থাকা। কিন্তু এখানেই দেখা গেল উলাটপুরাণ। তৃণমূলের পতাকা ব্যানার নিয়ে বিজেপি দফতরে যোগ দিতে এলেন শংকর হালদার এবং তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের হাতে ব্যানারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এই ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এই প্রথম বলেই সবাই মনে করছেন।
কিন্তু শংকর হালদার বা তাঁর অনুগামীরা এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও ব্যাখ্যা দেননি। ভবিষ্যতে হয়তো তাঁকে পদ্মাসনেই দেখা যাবে। তবে এমন ঘটনা তিনি কেন ঘটালেন তা নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। তিনি কি জল মাপতে চাইছেন? তৃণমূল–বিজেপি দুটো দল করা যায় নাকি? তিনি দুটো দলের রাস্তাই খোলা রাখতে চাইছেন? উঠছে প্রশ্ন। তবে 'কৃষকদরদি, গরিব দরদি, শ্রমিক দরদি, সর্বহারা মানুষের সাথী' (পোস্টারে তেমনটাই লেখা ছিল) শংকর হালদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে বিজেপি’র দফতরে পৌঁছনোর ছবিটা থেকে যাবে।