জমি নিয়ে বিতর্কের প্রায় এক বছর পর শান্তিনিকেতনের প্রতিচী বাড়িতে এসেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে থাকবেন তিনি। এই অবস্থায় অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি বীরভূমের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘক্ষণ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে আলোচনা করেন কাজল। বীরভূম জেলার উন্নয়নে সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ। অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করার পর এমনটাই জানালেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি শেখ। অর্থনীতিবিদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আপ্লুত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। একইসঙ্গে অমর্ত্য সেনের সমালোচনা করার জন্য বিজেপিকেও বিঁধেছেন কাজল।
আরও পড়ুন: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মানবিকতায় মুগ্ধ কর্মীরা, অসুস্থদের দেখে এলেন অমর্ত্য সেন
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের প্রতীচী বাড়িতে যান। সেখানে তিনি অমর্ত্য সেনকে পুস্পস্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে নানান বিষয়ে কথা বলেন।এরপরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কাজল জানান, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। অমর্ত্য বাবু একজন পৃথিবীখ্যাত মানুষ। অর্থনীতিবিদের সান্নিধ্যে আসতে পেরে খুবই আপ্লুত হয়েছেন তিনি। বীরভূম জেলার উন্নয়নের ক্ষেত্রে অমর্ত্য সেন সুপরামর্শ দেবেন বলে জানান কাজল।
অমর্ত্য সেনের আরও প্রশংসা করে কাজল শেখ বলেন, ‘উনি হলেন একজন প্রখ্যাত মানুষ। শুধু আমাদের বীরভূমের নয়, সারা ভারত এবং বিশ্বের গর্ব তিনি। বীরভূম জেলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। উনি সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন।’ যদিও কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানাতে চাননি কাজল শেখ। তবে তিনি বলেন, ‘উনি গোটা ভারতকে দিশা দেখিয়েছেন। বীরভূম জেলার উন্নয়ন নিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে।’
একইসঙ্গে অমর্ত্য সেনের সমালোচনা করার জন্য বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেছেন, ‘যারা এই ধরনের মানুষের সমালোচনা করেন তাদেরকে ভাবার জন্য বলব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আজকে তাঁকে সান্নিধ্যে এসে বুঝতে পারলাম উনি একজন মহাপুরুষ। ভারতবর্ষকে যে মানুষটি পথ দেখিয়েছেন সেই মানুষকে অবজ্ঞা করেছে বিজেপি। তারা বাংলার ভালো চায় না, ভারতের ভালো চায় না।’
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বনাম অমর্ত্য সেনের লড়াইয়ে সিউড়ি আদালত নোবেলজয়ীর পক্ষেই রায় দিয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অমর্ত্য সেনকে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নেটিশ পাঠানো হয়। তবে আদালতের তরফে সেই নোটিশ খারিজ করে দেওয়া হয়।