আবার গুলি করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল। ঘুমন্ত অবস্থায় জানালা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাতেই মারা যান তিনি। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দু’নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জ্যোতিষপুর গ্রামে। আর রাজনৈতিক কারণে খুন নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে সন্দেশখালিতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত এই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম প্রদীপ নায়েক। তিনি সন্দেশখালির জ্যোতিষপুর গ্রামের বাসিন্দা। এমনকী এখানের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বুথ সভাপতি ছিলেন। এখন ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার ছিলেন। রবিবার রাতে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। তখন খোলা ছিল জানালা। আর ঘুমন্ত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তে ভেসে যায় ঘর। তাঁর কান এবং চোয়ালে গুলি লাগে। গুলির শব্দে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারণ পারিবারিক বিবাদে একজন খুন হয়েছিলেন সম্প্রতি। সেই ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। যদিও পরে তিনি ছাড়া পান। আর ছাড়া পাওয়ার পরই তাঁকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ফলে গোটা ঘটনার নেপথ্যে একাধিক ব্যক্তি থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তদন্ত করছে পুলিশ।
কেন খুন হতে হল তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে? সূত্রের খবর, এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কয়েকজন দুষ্কৃতী সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে ফেলেছিলেন। তার উপর খুনের যে ঘটনায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন। সুতরাং তাঁকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।