বসিরহাটের পর ইসলামপুর। একইদিনে পর পর দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে গুলি করে খুন করা হল। তবে এই খুনের পিছনে সিপিআইএমের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের রিঙ্কুয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহের পাশে পড়েছিল মোটরবাইক। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তে পুলিশ।
সকালে বসিরহাটেও গুলি করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুন করার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। আর দুপুরে গুলি করে এক্রামুল হক–কে গুলি করে খুন করা হল। তিনি উত্তর দিনাজপুরের মাটিকুণ্ডা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মদনগজের পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। তিনি আগডিমটিখুন্তি পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য ছিলেন। শুক্রবার মোটরবাইকে চড়ে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, বাজার থেকে ফেরার পথে রিঙ্কুয়া এলাকায় দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা এক্রামুল হক। রক্তাক্ত হয়ে যায় গোটা এলাকা।
গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে সিপিআইএমের যোগসাজশ রয়েছে।’ কে বা কারা খুনের সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার আগে–পরে কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।