পঞ্চায়েত নির্বাচন এখন দুয়ারে। যদিও নির্ঘন্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে শাসক–বিরোধী সবপক্ষই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নয়া কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তা নিয়ে ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। এবার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দেগে নয়া কৌশলের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী ঘটতে চলেছে? ‘গেট ওয়েল সুন’ কার্ড–ফুল দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। যার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে দৌড়াতে হয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে। তারপর সেটাই ভোর ৫টা থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতিফলিত হতে শুরু করে। যা বেশ বিড়ম্বনায় ফেলেছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এবার নন্দীগ্রামে (তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র) শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ‘নো এন্ট্রি’ পোস্টার দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কুণাল ঘোষ। নিজের বিধানসভা এলাকায় যখনই তিনি ঢুকবেন চারিদিকে এই পোস্টার দেখতে পাবেন। তাতে আরও বিড়ম্বনা বাড়বে বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ঠিক কী বলছেন কুণাল ঘোষ? একদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী নিজের রক্ষাকবচ বাড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাতে সেই মেয়াদ ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে ঘুরে ঘুরে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে, তার ব্যাপারে কেন বিচার ব্যবস্থা চোখে ঠুলি পরে থাকবে?’ এরপরই নো এন্টি পোস্টারের কথা জানান তিনি। এখন দেখার এই জল কতদূর গড়ায়।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে বুলডোজার আসতে চলেছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ বিডিও অফিসগুলি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর একধাপ এগিয়ে বিডিও অফিস দেহব্যবসায়ীর দখলে বলেছেন সৌমিত্র খাঁ। এমনকী রামধোলাই দেওয়ার নিদান দিয়েছেন স্বয়ং বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। এবার সবকিছু নিয়েই পাল্টা নো এন্ট্রি পোস্টার দেওয়ার পথ বেছে নিলেন কুণাল ঘোষ।