এবার পুলিশকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। হলদিয়ায় দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র সভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেম তিনি। আর তাতেই রাজ্যের রাজনৈতিক বাতাবরণে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি শ্রমিক সংগঠনের পাশে আছেন বলে জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে পুলিশ শ্রমিককে হেনস্থা করলে তিনি নিজে সশরীরে থানায় যাবেন বলে বার্তা দিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? এদিন হলদিয়া ইন্দরামা কারখানার সামনে জনসভা থেকে পুলিশ শ্রমিককে ডেকে হেনস্তা করলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না বলে হুঁশিয়ারিও দেন। তিনি বলেন, ‘কারও প্ররোচনায় পুলিশ যদি কোনও শ্রমিককে ডেকে হেনস্থা করে, তাহলে ছেড়ে কথা বলব না। পুলিশ শ্রমিককে থানায় ডাকলে, প্রয়োজনে আমি নিজেই সশরীরে উপস্থিত হবো।’ এই হুঁশিয়ারি যখন তিনি দেন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসি তমলুক সাংগঠনিক সভাপতি শিবনাথ সরকার, তৃণমূল কংগ্রেসের হলদিয়া ব্লক সভাপতি স্বপন নস্কর–সহ অন্যান্যরা। শিল্পশহরে শ্রমিকদের পুলিশ হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর তা নিয়ে বলতে গিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন কুণাল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় গতকাল আদালতে যাওয়ার সময় কর্মী–সমর্থকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান। এই নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি যখন জেলে ছিলাম তখন এই পার্থদা বলেছিল মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমি পার্থদাকে বলব আয়নায় নিজের মুখটি দেখতে।’ বিজেপির দাবি সভা করতে অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘অনুমতি দেওয়া না দেওয়াটা পুলিশের বিষয়। ওই নিয়ে আমি কিছু বলব না। তবে বিজেপি যদি রাজনৈতিক কথা বলে, তাহলে বলব তোমরা সিআরপিসি, আইপিসির যে ধারাগুলি ত্রিপুরায় দেখিয়েছো, সেগুলি যদি বাংলায় দেখ তখন কেমন লগবে?’
এখন আসানসোলের কম্বল কাণ্ড নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি শোরগোল হয়ে রয়েছে। বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও চৈতালি তিওয়ারিকে। এই ইস্যুতে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আসানসোলের ফেরার আসামী শুভেন্দু। এতগুলি লোক কম্বল দিতে গিয়ে মারা গেল, আহত হল। তখন গাড়িটি ঘুরিয়ে একবারের জন্যে আসেনি শুভেন্দু। দিল্লি গিয়ে গোষ্ঠীবাজি করতে পারে, কিন্ত আসানসোলের ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে পারছে না। আসানসোলের এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীকেও নোটিশ করতে হবে। পুলিশ তার তদন্ত করছে। কত বড় দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত। তিনজন মারা গেল। একটা বালিকা মারা গেল। তার মা আছড়ে পড়ে কাঁদছে। আর শুভেন্দু কলকাতায় জন্মদিন পালন করছে। তদন্ত করতে পুলিশ যাবে না।’