বড় রাস্তার ওপর চার তলা প্রাসাদ। তার জানলাগুলো আবার হৃদয় আকৃতির। সারা গা ডোরাকাটা ঢঙে রাঙানো। এবার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাস্সের হোসেনের এই বাড়ি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। সৌজন্য বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতেই এই বাড়ি জমি ও মূল্য পরিমাপের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রামপুরহাট গণহত্যার পর সেখানে তৃণমূল নেতাদের বাড়ি সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। আনারুল হোসেন, ভাদু শেখের বাড়ি যে এক একটা প্রাসাদ। কী করে সামান্য উপার্জনে এত বড় বাড়ি বানালেন তাঁরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই প্রশ্ন মোদাস্সেরের ‘লভ হাউজ’ নিয়েও।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোদাস্সের বর্তমানে ভোগানলি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান। প্রথম দিন থেকে দলের কর্মী তিনি। এই সময় কখনো উপপ্রধান, কখনো প্রধান পদে ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, সেই সুবাদেই যথেচ্ছ তোলাবাজি, কাটমানির মালিক হয়েছেন তিনি। যা দিয়ে তৈরি হয়েছে এই বাড়ি। এলাকাবাসী আরও জানিয়েছেন, ভাঙড়ে মোদাস্সেরের আরও কয়েকটি এই ধরণের বাড়ি রয়েছে।
পালটা মোদাস্সেরের দাবি, মাছের ভেড়ি আর কৃষিকাজ করে অর্থ উপার্জন করেছেন তিনি। সঙ্গে কিছু টাকা ঋণ করেছেন বাড়ি বানাতে। ২০ হাজার বর্গফুটের বাড়িটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হয়। তার ভাড়া থেকেই শোধ হয় ঋণের কিস্তি।
এই বাড়িকে হাতিয়ার করে মোদাস্সেরের বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে আপাতত বাড়ির মাপজোক শুরু করেছে কাশীপুর থানা ও ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভূমিরাজস্ব দফতরের কর্মীরা। দ্রুত রিপোর্ট পেশ হবে বলে সূত্রের খবর।