আবার দলের সভা এড়ালেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন ওরফে মধু। এমনকী তাঁর ঘনিষ্ঠরাও সভায় যোগ দেননি। অথচ মধুর বাড়ি থেকে দেড় কিমি দূরে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন বাগানে কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় দলের জেলা সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খান হাজির থাকলেও সভায় হাজির হননি মধু।
কয়েকদিন আগে রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু তারপর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের অস্বস্তিতে শাসকদল। এই ঘটনায় জেলা সভাপতি বলেন, ‘ও এখন দলের কর্মসূচি ফেলে খেলায় মেতেছে। দেখা যাক এই খেলা ও কতদিন চালিয়ে যেতে পারে।’ কিন্তু কিসের খেলা তা পরিষ্কার করে বলেননি তিনি। এখন তলে তলে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার খেলা বোঝাতেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই সভায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি ও বুথ ভিত্তিক কর্মীদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আগের মতই গরহাজির ছিলেন সভাধিপতি মধু। ওই এলাকার জেলা পরিষদের সদস্য সঞ্জয় হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জুলফিকার আলি–সহ একাধিক উল্লেখযোগ্য নেতা।
দলের নেতা–কর্মীরাই বলছেন শুভেন্দু অধিকারীকে জেলা পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অপসারণের পর আর কোনও দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামী মধুকে। ফলে মধুর অন্য কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এই বিষয়ে মধুর সাফাই, ‘আজকের সভার বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। আমি দলনেত্রীর নেতৃত্বেই দল করি। দলবদলের কোনও প্রশ্নই নেই।’