এক তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার তালড্যাংরা থানা এলাকার মাণ্ডি গ্রাম। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে উঠে আসছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল নেতার নাম বিপ্লব রায় (৫২)। সোনামুখী সেচ দফতরের কর্মী ছিলেন তিনি। এলাকায় অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর। গতকাল রাতে বিপ্লব যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাঁর ওপর চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় বিপ্লববাবুকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বিপ্লব রায়ের বাড়িতে তাঁর দাদা, স্ত্রী ছাড়াও ১৪ ও ৭ বছরের একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী-সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, এই খুনের ঘটনার পিছনে দলের মধ্যের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিতাই চক্রবর্তী দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, 'এই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁরা গতকাল রাতে একটি গোপন জায়গায় মিটিং করেছিলেন। গতকাল রাতে যখন ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন আমিও বিপ্লবের সঙ্গে ছিলাম। আমি আর বিপ্লব রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছুটা যাওয়ার পর আমি ওঁর থেকে একটু তফাতে চলে যাই। ঠিক তখনই ওঁর ওপর আক্রমণ করা হয়। যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁরা আসলে তৃণমূলের মধ্যে ঢুকে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করেছিল। সেই কাজে তাঁরা সফল হয়েছেন।' এদিকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুজিত অগস্থি জানান, 'গতকালের ঘটনা আসলে দুই চক্রবর্তীর এলাকা দখলের লড়াইয়ের ফল। কোন দাদা ওখানে তোলা তুলবে, জমি দখল করবে তার লড়াই।'