দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের পর এবার মাথাভাঙা শহরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ, বার্ধক্য ভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্ক জড়ালেন কোচবিহারের আরও এক তৃণমূল নেতা।ওই নেতার নাম বিশ্বজিৎ রায়। তিনি মাথাভাঙা ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল ব্লক সভাপতি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করেছে। তাদের চিহ্নিত করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘TMC নেতাদের বাড়িতে চুরি করুন’ হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে নেমে নিদান কংগ্রেস নেতার
২১-শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা উপলক্ষে মাথাভাঙা ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে একটি পথ সভার আয়োজন করা হয়। সেই পথ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়। তিনি বলেন, ‘এবারের লোকসভা নির্বাচনে মাথাভাঙা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। এটা খুব দুঃখজনক। এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ সারা বছর তৃণমূলের সঙ্গে নাটক করল। তৃণমূল রাত ও দিন এক করে তাদের পরিষেবা দিয়ে গেল। কিন্তু, মানুষকে এতো পরিষেবা দেওয়ার পরেও একটা দিন (ভোটের দিন) আমাদের সঙ্গে বেইমানি করল। যে হাত দিয়ে সারা বছর আমাদের কাছ থেকে পরিষেবা নিয়ে গেল, সেই হাত দিয়েই মাথাভাঙা শহরে তৃণমূল কংগ্রেসকে গলা টিপে মারলো।’
এদিন পথসভায় তৃণমূল নেতা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, যারা তৃণমূল ভোট না দিয়ে বিরোধীদের ভোট দিয়েছে আগামী দিনে তাদের চিহ্নিত করে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি সারা বছর কাজ না করে শুধু একটা দিন কাজ করি তাহলে আপনার বলবেন কাউন্সিলর কাজ করে না। তাই ভোট দেবো না। কিন্তু, সারা বছর ধরে তৃণমূলের পরিষেবা নিয়ে বেইমানি করলে শক্ত হাতে তা দমন করতে হবে।’
বিশ্বজিৎ রায় জানান, এই সমস্ত মানুষকে চিহ্নিত করে যাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও অন্যান্য সরকারি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় সেবিষয়ে পুরসভা ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে। তৃণমূল নেতার এই নিদান ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক তৃণমূল নেতা এভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিনই একইভাবে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য।